দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমা থেকে ‘মা মহামায়া’ নামে একটি ট্রলার ভাড়া করে দিঘার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন ওই পর্যটকরা। গন্তব্যে পৌঁছনোর ঠিক আধ ঘণ্টা আগে ছন্দপতন ঘটে।আশেপাশের একাধিক ট্রলারকে সাহায্যের কথা জানানো হলেও কেউ কর্ণপাত করে…
দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমা থেকে ‘মা মহামায়া’ নামে একটি ট্রলার ভাড়া করে দিঘার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন ওই পর্যটকরা। গন্তব্যে পৌঁছনোর ঠিক আধ ঘণ্টা আগে ছন্দপতন ঘটে।আশেপাশের একাধিক ট্রলারকে সাহায্যের কথা জানানো হলেও কেউ কর্ণপাত করেনি বলে অভিযোগ। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ট্রলারের যাত্রীরা। একদিকে উত্তাল সমুদ্রের গর্জন, অন্যদিকে নেমে আসা অন্ধকার— এই দুইয়ের সাঁড়াশি চাপে ট্রলারে থাকা ২২ জন পর্যটক চরম আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। শুরু হয় কান্নাকাটি।দ্রুত ওয়্যারলেসের মাধ্যমে দিঘা কোস্টাল থানার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। খবর পাওয়ামাত্রই সক্রিয় হয়ে ওঠে পুলিশ। রাত ন’টা নাগাদ ওই ট্রলারের সমস্ত যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে খবর। দিঘা কোস্টাল থানার একটি উদ্ধারকারী দল দ্রুতগতির ভেসেল নিয়ে মাঝসমুদ্রের উদ্দেশে পাড়ি দেয়। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও পুলিশের যৌথ প্রচেষ্টায় একে একে ২২ জন পর্যটককেই উদ্ধার করে দ্রুতগতির ভেসেলে তোলা হয়। ২টি সিভিল ডিফেন্স নৌকা এবং নুলিয়া স্বেচ্ছাসেবকরা উদ্ধারের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন।রাতেই তাঁদের নিরাপদে ডাঙায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।
জেলাশাসক ইউনিস ঋষিন ইসমাইল বলেন, ‘খবর পাওয়ার পর উদ্ধার হওয়া পর্যটকদের সঙ্গে দেখা করি। সকলের সঙ্গে কথা হয়। সকলেই সুস্থ রয়েছেন।’বিপদে পড়া ওই ট্রলারের যাত্রীরা সামাজিক মাধ্যম থেকে সেই নম্বর সংগ্রহ করেই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন।পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার মিতুন কুমার দে বলেন, ‘সম্প্রতি জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে একটি হেল্পলাইন নম্বর (৭০৪৭৯৮৯৮০০) চালু করা হয়েছে। এর ফলেই আমরা খুব দ্রুততার সঙ্গে তাঁদের উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি।’

No comments