Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Popular Posts

Breaking News:

latest

দশটি পাঁঠা বলি দিয়ে আত্ম সন্তুষ্টি,হলদিয়ার পানা গ্রামে চক্রবর্তী পরিবারের শ্যামা কালী পুজোতে পাঁঠা বলি অন্যতম রেওয়াজ

পুজোতে পাঁঠা বলি অন্যতম রেওয়াজ ।বলির জন্য দশটি পাঁঠাকে সাজিয়ে রাখা হয়েছিল । প্রায় ৪০০ বছরের পুরনো পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দুর্গাচক থানায় এলাকার চক্রবর্তী পরিবারের শ্যামা পুজো । সোমবার রাতে রীতি অনুযায়ী পুজোয় মেতে উঠে পরিবা…

 


পুজোতে পাঁঠা বলি অন্যতম রেওয়াজ ।বলির জন্য দশটি পাঁঠাকে সাজিয়ে রাখা হয়েছিল । প্রায় ৪০০ বছরের পুরনো পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দুর্গাচক থানায় এলাকার চক্রবর্তী পরিবারের শ্যামা পুজো । সোমবার রাতে রীতি অনুযায়ী পুজোয় মেতে উঠে পরিবারের সদস্যরা । চক্রবর্তী পরিবারের পুজো হলেও গ্রামবাসীরা চার হাত এক করে পুজোয় সহযোগিতা করেন ।এখানে খুব জাগ্রত মা কালীর মূর্তি , তিনি নাকি পাঠার বলির নেওয়ার জন্য এখানে গভীর রাত্রে ঘোরাফেরা করতেন। বিভিন্ন এলাকা থেকে মায়ের কাছে মনস্কামনা পূর্ণ্যর জন্য পুজোর সময় ছুটে আসেন । নিজেদের মনস্ক কামনা পূরণের জন্য পাঁঠা বলি দেন । সেই পাঁঠা বলির মাংস পরেরদিন প্রসাদাকারে প্রায় ৬০০ অধিক মানুষ ভক্ষণ করবেন ।বর্তমান শ্যামা কালী পুজোর পুজক প্রশান্ত চক্রবর্তী নিজেই নিষ্ঠা ভরে সারা রাত্রি ধরে পূজোর শেষ করেছেন ।তিনি বলেন ,বিগত বছরের মত এ বছরও দশটি পাঁঠা বলি দেওয়া হয়। জ্বলন্ত ধুনিচি মাথায় করে নিয়ে এসে মায়ের কাছে অর্পণ করেন। চক্রবর্তী পরিবারের একাংশের মতে, পশুর মুক্তির প্রার্থনা এবং যজ্ঞের অংশ, যেখানে পশুবলির মাধ্যমে মুক্তি দেওয়া হয়।চক্রবর্তী পরিবারের অনেকে মনস্কামনা পূর্ণর জন্য পাঠা বলি দিয়ে থাকেন ।

মানুষের বিশ্বাস এর ফলে মা সবার মনস্কামনা পূর্ণ করেন।কালী পূজায় পাঠা বলি দেওয়া হয় মূলত দেবীর কাছে ভক্তের অশুভ শক্তিকে দমন করার ক্ষমতা প্রার্থনা এবং বলিদান এর মাধ্যমে দেবীর প্রতি ঐক্য, আত্মসমর্পণ ও ভক্তি প্রকাশ করার প্রতীক হিসেবে। এটি দেবী কালীকে সন্তুষ্ট করার একটি ঐতিহ্যগত রীতি, যা অশুভ শক্তির বিনাশের সঙ্গে যুক্ত এবং যা কালীকে সন্তুষ্ট করে। কিন্তু আধুনিক যুগেও এমন অমানবিক কাজ পশুকে কষ্ট দেওয়া,বলি দেওয়া , কতটা দেবী তুষ্ট হন ,তা শিক্ষিত সমাজ বিচার করবে ।যদিও আজ প্রাচীন অনেক মন্দিরে পাঠা বলি বন্ধ হয়ে গেছে । কুমড়ো, আখ বা নারকেলের মতো প্রতীকী বলি এখন অনেক মন্দিরে প্রচলিত।

No comments