মা-মেয়েকে জ্যান্ত পুড়িয়ে খুনের পাঁচ বছর পরে মামলায় শনিবার রায় শোনাল তমলুক জেলা ও দায়রা আদালত। ৪ জন দোষীসাব্যস্তের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল।তৎকালীন তদন্তভার দেওয়া হয় সাব-ইন্সপেক্টর অশোক ঘোষকে (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত)। পরবর্তীতে মাম…
মা-মেয়েকে জ্যান্ত পুড়িয়ে খুনের পাঁচ বছর পরে মামলায় শনিবার রায় শোনাল তমলুক জেলা ও দায়রা আদালত। ৪ জন দোষীসাব্যস্তের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল।তৎকালীন তদন্তভার দেওয়া হয় সাব-ইন্সপেক্টর অশোক ঘোষকে (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত)। পরবর্তীতে মামলার তদন্ত ভার গ্রহণ করেন সাব ইন্সপেক্টর(বর্তমানে ইন্সপেক্টর) বিপ্লব হালদার। তদন্তে নেমে পুলিশ দ্রুত সাদ্দাম হোসেন, শেখ মানিজুল আলম, সুখদেব দাস এবং আমিনুর হোসেন নামে চারজনকে গ্রেফতার করে। তদন্ত শেষে এই মামলায় চার্জশিট জমা করেন বিপ্লব বাবু।হলদিয়ায় মা ও মেয়ে খুনের ঘটনায় ৫ বছর পর সাদ্দাম সহ চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ঘোষণা করলো দায়রা আদালত ।৫ বছর আগে হলদিয়ার নদী পাড়ে জোড়া খুনের ঘটনায় তোলপাড় পড়েছিল রাজ্যে।
পুলিশ খবর পায় যে ঝিকুরখালী গ্রামের একটি ইটভাটার কাছে নদীর চরে দু'জন মহিলার মৃতদেহ জ্বলছে। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং স্থানীয় পৌরপিতার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে।২০২০ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি। হলদিয়া পৌরসভার ঝিকুরখালি এলাকার হলদি নদীর ধারে মা ও মেয়ের অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। পরে জানা যায়, জোড়া খুনে অভিযুক্ত হলদিয়ার বাসিন্দা সাদ্দাম হোসেন। তদন্তে উঠে আসে, উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরের রমা দে নামে এক মহিলার সঙ্গে অভিযুক্ত সাদ্দামের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। রমা তাঁর ১৮ বছরের মেয়ে জেসিকাকে নিয়ে অভিযুক্ত সাদ্দামের কাছে হলদিয়ায় চলে আসেন। হলদিয়ায় একটি বাড়ি ভাড়া করে তাঁদের রাখেন সাদ্দাম। ধীরে ধীরে রমার পাশাপাশি তাঁর মেয়ে জেসিকার সঙ্গেও সাদ্দামের প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। পরে সাদ্দাম জেসিকাকে বিয়ে করেন। মা-মেয়ে দু’জনের সঙ্গেই সম্পর্ক রাখতে গিয়ে তৈরি হয় বিবাদ। সাদ্দাম সব সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা চালান। তারপরই ঘটনা মোড় নেয় নৃশংসতায়।

No comments