আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে রামনগর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির আয়োজিত সার্বজনীন দুর্গোৎসবের শুভ সূচনা হলো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে। শনিবার মুখ্যমন্ত্রী কলকাতা থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে পূজার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে…
আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে রামনগর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির আয়োজিত সার্বজনীন দুর্গোৎসবের শুভ সূচনা হলো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে। শনিবার মুখ্যমন্ত্রী কলকাতা থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে পূজার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
এই শুভ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রামনগরের বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী অখিল গিরি। পাশাপাশি রামনগর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির সম্পাদক নিতাই সারও সক্রিয় ভূমিকা নেন। উপস্থিত ছিলেন রামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক বুদ্ধদেব মাল, রামনগর ১ ব্লকের বিডিও পুজা দেবনাথ, ব্লকের কর্মাধ্যক্ষ জইরুল ইসলাম ও উত্তম দাস-সহ প্রশাসনিক কর্তারা।
প্রতি বছরের মতো এবছরও রামনগর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির দুর্গোৎসব ঘিরে এলাকার সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে উৎসবের আবহ তৈরি হয়েছে। বাজার চত্বর জুড়ে সেজে উঠেছে আলোকসজ্জা ও রঙিন থিমে সাজানো পূজামণ্ডপ। ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এবছরের থিমে সামাজিক বার্তা ও শিল্প-সৌন্দর্যের সমন্বয় তুলে ধরা হয়েছে, যা দর্শনার্থীদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হবে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিধায়ক অখিল গিরি পূজাকে কেন্দ্র করে রামনগরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ঐক্যের বার্তা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “দুর্গাপুজো কেবল ধর্মীয় উৎসব নয়, বাঙালির অন্যতম বৃহৎ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এই পুজো মানুষকে মিলিত করে, আনন্দ ভাগাভাগি করার সুযোগ দেয়।”
এদিন রামনগর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক নিতাই চরণ সার জানিয়েছেন, পূজার দিনগুলিতে দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া রক্তদান শিবির, সামাজিক কর্মসূচি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হবে।
রামনগরের মানুষের কাছে দুর্গোৎসব মানেই শুধু পূজা নয়, বরং আনন্দ, ঐক্য ও সামাজিক দায়বদ্ধতার এক মহোৎসব। মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে ভার্চুয়াল উদ্বোধনের মাধ্যমে এবছরের উৎসব যেন আরো ভিন্ন মাত্রা পেল।

No comments