দীর্ঘ সাড়ে ১১ বছর আগে পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে একটি খুনের ঘটনা ঘটে। অবশেষ সেই ঘটনায় অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করল কাঁথি মহকুমা আদালত। ছ’জন দোষীর সাজা শোনাল কোর্ট।জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালে পটাশপুর থানার গোয়ালদা পাটর্নী গ্রামে রাস্…
দীর্ঘ সাড়ে ১১ বছর আগে পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে একটি খুনের ঘটনা ঘটে। অবশেষ সেই ঘটনায় অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করল কাঁথি মহকুমা আদালত। ছ’জন দোষীর সাজা শোনাল কোর্ট।
জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালে পটাশপুর থানার গোয়ালদা পাটর্নী গ্রামে রাস্তার মোরাম ফেলাকে কেন্দ্র করে বচসা এবং মারধরের ঘটনা ঘটে। অভিযোগ, ওই গ্রামের শচীন্দ্রনাথ মাইতি ও তাঁর স্ত্রী ও দুই পুত্রকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে ওই গ্রামেরই বাসিন্দা নিতাই মাইতি, তপন মাইতি, স্বপন মাইতি, রাজকুমার মাইতি, দিপালী মাইতি ও পূর্ণিমা মাইতিরা।
তাঁদের মারের জেরে শচীন্দ্রনাথ মাইতি, তাঁর স্ত্রীও দুই পুত্র গুরুতর জখম হয়। সকলকে উদ্ধার করে ঘটনার দিন এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেদিন দুপুর বারোটার সময় ওই মারের জেরেই শচীন্দ্রনাথ মাইতির মৃত্যু হয়। সেই অভিযোগে অভিযুক্তদের পুলিশ গ্রেফতার করে। এবং পরবর্তীকালে তাঁরা জামিনে মুক্ত ছিল। দীর্ঘ ১১ বছর ধরে মামলার চলে। সওয়াল জবাবও চলে। সমস্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ গ্রহণ করে বিচারক ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৭, ১৪৮,১৪৯,৩০৭,৩০২,৫০৬ ও ৩৪ ধারা মতে আসামী নিতাই মাইতি, তপন মাইতি, স্বপন মাইতি, রাজকুমার মাইতি, দিপালী মাইতি ও পূর্ণিমা মাইতিকে দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক নরজ্জমান আলি। এই মামলার সরকার পক্ষের প্যানেল প্লিডার ছিলেন বেণিমাধব বেরা ও অ্যাডিশনাল পি পি মঞ্জুর রহমান।

No comments