ফের বাড়ছে কাঁসাইয়ের জলস্তর। ইতিমধ্যে ভেঙেছে কয়েকটি বাঁশের সাঁকো।* *পাঁশকুড়ার বানভাসিরা আতঙ্কে। অবিলম্বে কাঁসাই নদী সংস্কারের দাবী।* গত তিন দিনে বাঁকুড়া,পশ্চিম মেদিনীপুর প্রভৃতি জেলায় নিম্নচাপজনিত বৃষ্টির কারণে ইতিমধ্যে কাঁসাইয়…
ফের বাড়ছে কাঁসাইয়ের জলস্তর। ইতিমধ্যে ভেঙেছে কয়েকটি বাঁশের সাঁকো।* *পাঁশকুড়ার বানভাসিরা আতঙ্কে। অবিলম্বে কাঁসাই নদী সংস্কারের দাবী।*
গত তিন দিনে বাঁকুড়া,পশ্চিম মেদিনীপুর প্রভৃতি জেলায় নিম্নচাপজনিত বৃষ্টির কারণে ইতিমধ্যে কাঁসাইয়ের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন অংশে জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে। বর্তমানে জলের তোড়ে বেশ কিছু বাঁশের সাঁকোও ভেঙে গিয়েছে। পাঁশকুড়া ও কোলাঘাট ব্লকের বেশ কিছু এলাকার মানুষজন বন্যার আতঙ্কে রয়েছে।
সংবাদদাতা দীপক পন্ডা---- 'পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বন্যা-ভাঙণ প্রতিরোধ কমিটি'র যুগ্ম সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক বলেন,আমরা আমাদের কমিটির পক্ষ থেকে দীর্ঘদিন ধরেই কাঁসাইয়ের এই শোচনীয় অবস্থার কথা সেচ ও প্রশাসন দপ্তরের কাছে বলে আসছি। অনেক আন্দোলনের পর সেচ দপ্তর ২০২২ সালে কাঁসাইয়ের ঢেউভাঙা থেকে রামচন্দ্রপুর পর্যন্ত অংশটি সংস্কার করেছে। বর্তমানে ময়নার রামচন্দ্রপুর থেকে পাঁশকুড়ার শ্যামপুর পর্যন্ত নদীর অংশটি একেবারে মজে গিয়েছে। যা অবিলম্বে পূর্ন সংস্কার করা খুব জরুরী। বিষয়টি নিয়ে আমরা গত কয়েক বছর ধরে আন্দোলন করে আসছি। সম্প্রতি আমরা জানতে পারলাম,"নো কষ্ট" পদ্ধতিতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন কাঁসাইয়ের ওই অংশটি পূর্ণ সংস্কার করবার জন্য উদ্যোগী হতে চলেছেন। কিন্তু এখনো ওই কাজের জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হয়নি।
আমরা চাই-ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের অন্তর্ভুক্ত কাঁসাই নদীর ওই অংশটি পূর্ণ সংস্কারে উদ্যোগী হোক সরকার। নো কস্ট পদ্ধতিতে নদী সংস্কার করলে আমাদের কোন আপত্তি নেই। কিন্তু আমরা যা জানতে পেরেছি,এই পদ্ধতিতে নদী সংস্কার অনেক সময় সাপেক্ষ। ওই পদ্ধতিতে রাজ্য সরকারের খনিজ দপ্তরের অধীনস্থ ডব্লিউ বি এম ডি টি সি এল(WBMDTCL)কর্তৃপক্ষ কেলেঘাই নদীর নিম্নাংশের ২২ কিমি ২০২১ সালের পর থেকে লাগাতর প্রচেষ্টা চালিয়ে খানিক অংশের জন্য চলতি বছরে একজন ঠিকাদার খুঁজে পেয়েছেন। সেই ঠিকাদার দু মাস আগে নদী সংস্কারের কাজ শুরু করেছে কিন্তু এক কিলোমিটার অংশও এখনো সংস্কার করতে পারেনি।
ফলস্বরূপ বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে "নো কস্ট" বা পুরানো পদ্ধতিতে অতি দ্রুত কাঁসাইয়ের ওই অংশটি পূর্ণ সংস্কারের উদ্যোগ নিক রাজ্য সরকার।
No comments